বই পড়তে বরাবরই আমার খুব ভালো লাগে। তার মধ্যে শরৎচন্দ্রের উপন্যাস পড়তে আমার আরও বেশি ভালো লাগে।এই বই গুলো অনেক আগে পড়া হয়ে গেছে।কিন্তু কখনও লেখা হয় নি বই গুলো নিয়ে। কারণ তখন এই রকম লেখার প্লাটফর্ম সম্পর্কে জানতাম না। কিন্তু এখন নিজের ভালো লাগার কাজটা করে অনেক ভালো লাগছে। শরৎচন্দ্রের বইয়ের সাথে অনেক আগে পরিচয় হয়েছে তো তাই বই গুলো মনের অনেক টা জায়গা দখল করে আছে।
পরিণীতা উপন্যাসটা পড়ে মনে হলো সত্যিকারের ভালোবাসা হয়তো হাজার বাঁধার পরও গিয়ে এক সময় পূর্নতা পায়।পারিবারিক বিভিন্ন উত্থান পতন এবং বিভিন্ন সম্পর্কের টানাপোড়া মুলত এই গল্পে স্থান পেয়েছে।এই গল্পের মুল চরিত্র গুলো ললিতা এবং শেখর নাথ। শেখর নাথ ললিতা কে ভালোবাসলেও বলতে পারে না।আর এর মধ্য দিয়েই সময় অতিবাহিত হতে থাকে।
সমাজের উঁচু নিচু এই বিভেদ তাকে বাধা দেয় সব সময় ললিতাকে আপন করতে।কারন ললিতা বাবা মা হারা সন্তান এবং মামা বাড়িতে লালিতপালিত হয়।আর তার মামারও আর্থিক অবস্থা খুবই শোচনীয়।আর অপরদিকে শেখরের বাবার অবস্থা খুবই ভালো।এবং শেখর বিয়ের পাত্র হিসেবেও সুযোগ্য।আর সে সময় পণের পরিমান ছিল আকাশ ছোয়া।আর শেখরের বাবা ছিল খুবই লোভী।আর তাই সে তার এই সুযোগ্য পুত্রকে বিয়ে দিয়ে মোটা অংকের পণ আদায় করতে চায়।এসব অনেক চিন্তার মধ্যে শেখর সামনে আগাতে অনেক ভয় পায়। কিন্তু যখন ললিতার বিয়ের কথা অন্য খানে চলে তখন এক রাতে যেন সে সব কিছু ভুলে যায় এবং ললিতাকে আপন করে নেয়।গিরিন নামের একজন মানুষের উপস্থিতিতে শেখরের ললিতাকে হারানোর ভয়কে নারিয়ে দিয়ে এই সিদ্ধান্ত গ্রহনে বাধ্য করে।
কিন্তু শেষে আবার সেই সম্পর্ককেও আপন করতে ভয় পায় এবং সেখান থেকে পালিয়ে বেড়ায়।আর এক সময় সেই জায়গায় স্থান পায় অবিশ্বাস ও ভুলবোঝাবুঝি। কিন্তু দিন শেষে বিভিন্ন উত্থান পতন এর মধ্য দিয়ে তাদের এই ভালোবাসা পূর্নতা পায়।আর তাই গল্পটা পড়ে মনে হলো সত্যিকার ভালোবাসায় অনেক বাঁধা আসে।সে গুলো যদি ধৈর্যের সাথে পার করা যায় তাহলে একদিন ঠিকই সুদিন আসে।এই গল্পটা পড়ে বার বার তাই মনে হলো।সব মিলিয়ে অসাধারণ একটা গল্প।
ধন্যবাদ

0 Comments