প্রথম পার্ট
নয় বছর বয়সের কাছাকাছি ছোট্ট ছেলে আলমানযো। বাবার খামার বাড়িতে বড় হয়ে উঠছে এই ছোট বালক। চার-ভাইবোননদের মধ্যে সে সবচেয়ে ছোট্ট। বড় দুবোনের নাম ইলাইযা জেন ও অ্যালিস এবং বড় ভাই রয়াল।তাকে ঘিরেই পুরো গল্প।
নিউইয়র্ক স্টেটের উত্তরা অংশে আলমানযো তার বাবা-মার সাথে থাকে।শীতের সময় পুরো এলাকা তুষারে ঘিরে থাকে।শীতের সময় খামারে কাজ থাকে না বলে স্কুলে পড়তে আসে তারা।
আলমানযো ভাই বোনদের সাথে স্কুলে যায়,তাদের টিফিন নিতে সাহায্য করে।শীত কালীন পুরো সময় টাও কোন শিক্ষক চাকুরি করতে পারেন নি এ পর্যন্ত কোন শিক্ষক।কারন ষোল-সতেরো বছরের বিগ বিল রিচ ও তার চারজন বন্ধু মিলে বিভিন্ন ছুতোই গন্ডগোল করে ও মারামারি করে।ওরা যে স্কুলে পড়ে সে স্কুলের একশিক্ষককে এই দুষ্ট ছেলে প্রচুর মারধর করে। ফলে ব্যাচারা শিক্ষক কিছুদিন পর মারাই গেল শেষ পর্যন্ত।
এর পরে স্কুলে মিস্টার কর্স নামে এক শিক্ষক এলেন পড়াতে। উনি হালকা পাতলা গড়নের হলেও অত্যন্ত সাহসী ও বুদ্ধিমান ছিলেন। ঐ স্কুলের দুষ্ট ছেলেদের লীডার ছিল বিগ বিল রিচি। সে স্কুলের কোনো নিয়ম শৃঙ্খলা মানতো না। বিগ বিল রিচের দলের কাজই ছিল শিক্ষকের সাথে ঝামেলা বাধিয়ে তাকে প্রচুর মারধর করে স্কুল থেকে তাড়িয়ে দিবেন।
বেশ কিছু দিন মিস্টার কর্স বিল রিচ ও তার দলবলের এরকম কাজকর্ম সহ্য করলেন এবং সাবধান করতে থাকলেন।আলমানযোও এই বড় ছেলেদের খুব ভয় পেত।প্রত্যেকদিন সকলে ভাবতে থাকলো কোনদিন এই দুষ্ট ছেলেরা টিচারকে পিটায়।এই ভয়ে সবাই অস্থির হয়ে থাকে।একদিন তো সকলে আরও বেশি ভয় পেল।
সেদিন আলমানযো ও রয়াল সব কিছু খুলে বললো তার বাবা কে।কিন্তু তার বাবা আলমানযো কে বললো মিস্টার কর্স সব কিছু জেনে শুনেই এসেছে।কিন্তু তবুও যেন আলমানযো স্বস্থি পাচ্ছিল না।পরে তার বাবা বললেন এখনে অস্থির হওয়ার কিছু নাই মিস্টার কর্স অনেক বুদ্ধিমান মানুষ তিনি ঠিক সামলে নিবেন।
মিস্টার কর্স একদিন দুষ্ট ছেলেদের শায়েস্তা করলেন।শিক্ষক তাদেরকে একটা ব্লাকস্ন্যাক চাবুক দিয়ে অনেক পিটালেন।বিগ বিল রিচের বেয়াদবির শাস্তি হিসেবে ঐ চাবুক দিয়ে পিঠিয়ে তাদের শাস্তি দেন যাতে পরবর্তীতে আর এরকম বেয়াদবি করতে না পারে। তাদের সহপাঠীদের ও শাস্তি দেন।পরে আলমানযো জানতে পারলো এই ব্লাকস্ন্যাক চাবুক তার বাবাই মিস্টার কর্সকে দেন।তখন আলমানযো আরও গর্ববোধ করতে থাকলো মনে মনে।কারণ তার বাবা তার কাছে সব চেয়ে বুদ্ধিমান ব্যক্তি।
এর মধ্যে আলমানযো এর বয়স ৯ বছর পূর্ণ হলো।এবং সে বাবা এর কাছ থেকে একটা জোয়াল ও স্লেড গিফট পেল বাবার কাছ থেকে।সে দুটো বাছুর কে ট্রানিং দেওয়ার দায়িত্ব পেল।এবং তার আগে থেকেই এই বাছুর দুটোর সাথে ভালোই ভাব ছিলো। তাি সে দ্রুত তাদেরকে অনেক কিছু শেখাতে পারলো।আলমানযো ৯ বছর বয়সের হলেও সে অনেক পরিশ্রমি এবং সে তার বাবার ফার্মের এই কাজ গুলো খুব ভালো বাসে।এবং সব সময় মনোযোগ দিয়ে করার চেষ্টা করে।আর তার বাবাও তাকে অনেক স্নেহ করে.....
ধন্যবাদ
0 Comments