Recents in Beach

আমিও পারি অ্যালান মার্শাল

অনুবাদঃকাজী শাহনূর হোসেন
গল্পের মূল চরিত্র হলো অ্যালান।তার ছোটবেলায় পোলিও হবার কারণে আর সবার মতো স্বাভাবিক ভাবে হাঁটাচলা করতে কষ্ট হয়।কিন্তু তার থেকে বেশি কষ্ট হয় যখন মানুষ তাকে খোড়া বলে করুনা করতে চায়।সে শারিরিক দূর্বলতার কারনে কখনও নিজেকে কোন কিছু থেকেই পিছিয়ে রাখতে চায় না।সব সময় সে অন্য মানুষের মতই নিজের জীবন অতিবাহিত করতে চায় এবং সে সেভাবেই তার জীবন সাজায়।এবং এতে তার বাবা মাও তাকে অনেক সাহায্য করে।
ছোটবেলা থেকে সে শারীরিক ভাবে দূর্বল বলে আলাদা কোন খাতির পেত না।আর সকল ছেলেমেয়েদের মত তাকেও তার বাবা মা সে ভাবেই ট্রিট করতো।আর তাই তো সে ছোটবেলা থেকে শারীরিক ভাবে দূর্বল হওয়ার পরও কারও উপর নির্ভরশীল হতে শিখে নাই।আর তাই সে হুইল চেয়ারে করে স্কুলে যায়,বন্ধুরা তাকে নিয়ে মজা করলে সেই মজাতে নিজেও যোগ দেয় এবং সে এটা উপভোগ করে।এভাবেই এক সময় তার কিছু ভালো বন্ধুও তৈরি হয়ে যায় এবং সে সব সময় তার সময় গুলো আনন্দের সাথে কাটায়।
বাহির থেকে মানুষ সব সময় তাকে দেখে অবাক হয়।একটা প্রতিবন্ধি ছেলে কিভাবে এতো খুশি থাকে তারা তা যেন মিলাতেই পারে না।অথচ অন্য স্বাভাবিক মানুষ যা করার সাহস করে না,এই ছেলেটা শুধু মাত্র ইচ্ছা শক্তি এর জোরে সব কিছু করে। তার বন্ধুরা যখন পাহাড়ে মাছ ধরতে যায়, খেলতে যায়, সে তখন শত কষ্ট হলেও সেখানে যায়, কোন কিছু থেকেই পিছিয়ে থাকতে চায় না। বন্ধুরা তাকে সাহায্য করতে চাইলেও সে কারও সাহায্য নেয় না।কারণ সে কারও বোঝা হতে কখনও চায় না আর তাই একটু একটু করে নিজেকে আত্মনির্ভরশীল করে তুলে।
সে সব সময় অন্য সকলের চেয়ে এগিয়ে থাকতে চায়।আর তাই একটা পা খোড়া হওয়া সত্যেও তিন মাইল দূরে গিয়ে সাঁতার কাঁটা শেখে।কারণ তখন ওি এলাকায় কেউ সাঁতার জানতো না।আর যখন সে এটা জানতে পারে তখন তার সাঁতার এর প্রতি আগ্রহ তৈরি হয়।প্রথম টা অনেক কঠিন হলেও একটা সময় পর গিয়ে সে তা রপ্ত করে নেয়। এবং তার এই দক্ষতা অন্য সকলকে অবাক করে দেয়।
তার বাবা,ডাক্তার এবং অন্য সকল মানুষ যখন মনে করতে অ্যালান একটা পা খোড়া জন্য কখনও ঘোড়া চালাতে পারবে না,তখন সে সকলের ধারণাকে ভুল প্রমাণিত করার জন্য বন্ধু এর ঘোড়া ধার করে এবং টিফিন এর সময় ঘোড়া কে পানি খাওয়ানোর অজুহাতে প্রায় এক বছর ধরে ঘোড়া চালানো শেখে।প্রথমটা টার জন্য অনেক কঠিন ছিল কারন এক পা দিয়ে একটা ঘোড়া কে নিয়ন্ত্রণ করা অনেক কঠিন।কিন্তু তার সৎ চেষ্টার জন্য অনেক আঘাত খেয়েও এক সময় সে সফল হয়। তারপর বাবাকে একদিন দুপুরবেলা ঘোড়া নিয়ে চালিয়ে দেখিয়ে চমকে দেয়।তার বাবা মা তার এই চমৎকার কাজে অনেক খুশি হয় এবং বুঝতে পারে তাদের ছেলে চাইলে সব করতে পারে।
অ্যালান স্কুল শেষ করে যখন মেলবোর্নের একটা বিজনেস স্কুলে স্কলারশিপ এর জন্য পরীক্ষা দেয় তখন স্কুলের সব থেকে ভালো ছাত্রের উত্তর এর সাথে তার কোন উত্তরই মেলে না। পরীক্ষা শেষে বাবাকে এসে বলে পরীক্ষা খুব খারাপ হয়েছে, পাশ করবো না । তার বাবা উত্তর দেয়, নাই বা করলে, চেষ্টাতো করেছিলে।কারণ তার বাবা জানতেন এবং বুঝতে পেরেছিলেন অ্যালান একদিন অনেক দূরে এগিয়ে যাবেন।কারণ তার ইচ্ছে শক্তিটাই ছিল প্রখর।
মোটকথায় অসাধারণ একটা বই।আমার পড়া সকল বই এর মধ্যে এট একটা অসাধারণ অনুপ্রেরণা মুলক বই।আমাদের ইচ্ছা শক্তি থাকলে আমরা কতদূর যেতে পারি এই বই পড়ে আমি বারবার তাই উপলব্ধি করেছি।তাই আমার মনে হয় যদি ইচ্ছে শক্তি ঠিক থাকে তাহলে সকল প্রতিবন্ধকতা কাটিয়ে সামনে এগিয়ে যাওয়া সম্ভব।
ধন্যবাদ

May be an image of text that says 'তিনটি বই একত্রে জেন অস্টেন-এর এমা স্কটও'ডেল-এর মান্তা ডায়াবলো অ্যালান মার্শাল-এর আমিও পারি রূপান্তর: কাজী শাহনূর হোসেন কিশোর ক্লাসিক'

Post a Comment

0 Comments