Recents in Beach

ফার্মার বয় লরা ইঙ্গলস্ ওয়াইল্ডার

দ্বিতীয় অংশ

ফার্মার বয় গল্পটা পড়ে অনেক অনুপ্রেরণা পেয়েছি।নয় বছরের আলমানযো সম্পর্কে যত জেনেছি ততই মুগ্ধ হয়েছি।অসাধারণ একটা গল্প। আর তাই স্যার আমাদেরকে এই কিশোর ক্লাসিক বই গুলো পড়তে বলেন।এখন আসি গল্পে-
আলমানযো ধীরে ধীরে বাছুর দুটোকে প্রশিক্ষণ দিয়ে নিজের বসে নিয়ে আসে।আলমানযো নিজের কাজ গুলো সব সময় ঠিক মত ও সময় মত করে। কারন সে সব সময় সে তার বাবা কে দেখে অনুপ্রেরণা পাই।আর তাই সে সব সময় সে তার কাজ গুলো তার বাবার মত নিখুঁত ভাবে করতে চাই।বাছুর গুলোকে প্রশিক্ষন দেওয়ার জন্য চাবুক এর প্রয়োজন ছিল। তার বাবা তাকে শিখিয়ে দেয়।এবং সে তা খুব সহজে শিখে নেই। এবং নিজেই বাছুর দের প্রশিক্ষনের জন্য চাবুক বানিয়ে নেয়।কিন্তু সে কখনও সেই চাবুক দিয়ে বাছুর গুলো কে মারে নি।কারণ সে খুব ভালো করেই জানে বাছুর গুলো একবার যদি তাকে ভয় পায় তাহলে সে সেগুলোকে কখনও তার বসে আনতে পারবে না। তাই সে সেটা শুধু শব্দ করার কাজেই ব্যবহার করতো যাতে করে বাছুর গুলো তার ইঙ্গিত বুঝতে পারে কোন দিকে যেতে হবে। বাছুর গুলো কে প্রশিক্ষণ দিতে তাকে অনেক ধৈর্যের পরীক্ষা দিতে হয়।কিন্তু সে হাল না ছেড়ে চেষ্টা করে যায় এবং সফল হয়।তার বাবা তাকে বলে এই কাজে অনেক ধৈর্যের প্রয়োজন আছে।
এরপর তারা বরফ কেটে নিয়ে আসে তার বাবার সাথে।এটা আমার খুব ভালো লেগেছে। কারণ আমি এটা জানতাম না। বরফ এত দিন সংরক্ষণ করা যায় এটা আমার জানা ছিল না।প্রতিটি বরফ খন্ডের ফাঁকে কাঠের গুঁড়ো ভরে কাঠি দিয়ে খুঁচিয়ে আঁট করে বসিয়ে বসিয়ে বিসাল বরফের ঘর বানিয়ে ফেলে।তখন তো রেফ্রিজারেটর ছিল না। তাই এভাবেই বরফ সংরক্ষণ করে তা পরবর্তীতে কাজে লাগাতো।এটা আমার খুব ভালো লেগেছে। বাবা বরফ খন্ড এনে দিচ্ছিলো আলমানযো আর রয়াল তা দিয়ে ঘর বানাচ্ছিল।এভাবে তিন দিন তারা এভাবে বড়ফ সংরক্ষণ করলো।যা গীষ্মকালেও যতই গরম পড়ুক না কেন, এই কাঠের গুঁড়োর নিচের বরফের চাঁই গলবে না একটুও।
এছাড়া তারা যে ছোট তা দুই ভাইয়ের গোসলের জন্য বরফ পারার ওখান থেকেই বুঝতে পারা যায়। দুই ভাইয়ের খুনসুটি ও উল্লাস ভালোই লেগেছে পড়তে। এরপর শীতের সময় সারা বছরের জন্য গুড় সংরক্ষণ করার বিষয়টাও অসাধারণ ছিল।এছাড়া তার মা নিজেদের তাতেই বেশির ভাগ সকল কাপড় বুনতো এটা আমার অসাধারণ লেগেছে।মোটামুটি তারা পুরোপুরি স্বয়ংসম্পূর্ন ছিল।সব কিছুই প্রায় তারা নিজেরাই তৈরি করতো।যা আমাকে অনেক অনুপ্রেরণা দিয়েছে।
এরপর তার বাবা তাদের ক্ষেতের যে আলু সংরক্ষণ করেছিল তা বিক্রি করে অনেক মুনাফা পায়।যেটা অন্য সময় বিক্রি করলে যে দাম পেত সংরক্ষণ করে শহরে নিয়ে গিয়ে বিক্রি করার জন্য তার চেয়ে অনেক ভালো দাম পায়।এটা দেখে আলমানযো খুব খুশি হয়। এবং মনে মনে ভাবে বাবা কতই না বিচক্ষণ।
এর পর শীত কাল শেষ হয়ে বসন্ত শুরু হয়।এবং তাদের জমি তৈরি করে শস্য দানা বোনার সময় হয়ে যায়।আলমানযো সকালে উঠে জমিতে চলে যায় এবং তার বাবাকে জমি তৈরি করতে সাহায্য করে। এভাবে তারা জমিতে আলু,গম জব,জই,মঠর বোনে।তারপর তারা গাজর আর ভুট্টার বীজও বোনে।সব গুলো ভিন্ন ভিন্ন জমিতে লাগায়...
May be an image of text that says 'চারটি বই একত্রে কিশোর ক্লাসিক লরা ইঙ্গলুস ওয়াই ন্ডারের ফার্মার বয় লিটুল হাউস অন দ্য প্রেয়ারি অন দ্য ব্যাঙ্কস অভ প্লাম ক্রীক লিটুল টাউন অন দ্য প্রেয়ারি রূপান্তর: কাজী আনোয়ার হোসেন মব'

Post a Comment

0 Comments