তৃতীয় পর্ব
আলমানযোর ঘোড়ার প্রতি অন্য রকম একটা দূর্বলতা আছে। সে কোল্ট গুলো কে দেখে সব সময় মুগ্ধ হয়।কিন্তু বাবার কড়া নিষেধের কারণে সে কোল্ট গুলোর কাছে যেতে পারে। কারণ একটা ৯ বছরের ছেলে এখনও কোল্ট গুলোর দেখা শোনা করার মত যথেষ্ট বড় হয় নি।কিন্তু আলমানযো দূর থেকে কোল্ট গুলোকে দেখে।
নিক ব্রাউন টিনের জিনিসপত্র বিক্রি করতে আসে। তার কাছ থেকে শহরের অনেক খবর পেল।তার মধ্যে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ খবর ছিল নিউইয়র্ক থেকে ঘোড়া কিনতে এসেছে খরিদদার।এটা শুনে বাবা চার বছর বয়সি কোল্ট গুলোর দলাইলাম ও গা আচরে দেওয়া হচ্ছে।আলমানযোর কোল্ট গুলোর প্রতি আগ্রহ দেখে বাবা তাকে সে সব কাজে সাহায্য করার জন্য কাছে নিলো।এবং আলমানযো খুব আগ্রহ নিয়ে কাজ করে গেল।
এর পর একদিন খরিদদার আসলো।বাবা ও খরিদদারের মধ্যে দাম কষাকষি খুব মনোযোগ দিয়ে আলমানযো পর্যবেক্ষন করলো। এবং অনেক দাম কষাকষি পর আলমানযোর বাবা কোল্ট দুটো ৪০০ ডলারে বিক্রি করলো।এবং খরিদদার ২০০ টাকা বায়না দিয়ে চলে গেল।সে সময় এত টাকা বাড়িতে রাখা নিরাপদ চিল না।টাকা বাড়িতে থাকলেই ডাকাত পড়তো।
তাই এত টাকা বাড়িতে থাকার কারণে সবার শান্তি নষ্ট হয়ে গেছে।সেই রাতেই একটা ক্ষুধার্থ কুকুর আসে।মায়ের অনুমতি নিয়ে অ্যালিস কুকুর টিকে খাবার দিলো।সেই রাতে কুকুর টি তাদের বাড়িতেই ছিল।এবং মধ্য রাতে কুকুরটি অস্বাভাবিক আচরণ করে।মনে হয় সামনে কাউকে দেখে চিৎকার করছিল।এই অবস্থায় রাত কেটে যায়।পরদিন আলমানযোর বাবা পর্যোবেক্ষন করে বুঝতে পারে যে ডাকাত এসেছিল গত রাতে। কিন্তু এই কুকুর এর জন্য তারা সে যাত্রায় বেঁচে গেছে। কিন্তু পরদিন অনেক খোঁজ করেও তারা আর কুকুর টিকে দেখতে পেল না।
এরপর ভেরার লোম কাটার অংশটা আমার অসম্ভব ভালো লেগেছে। সবার হাসির ও বিদ্রুপের কোন জবাব না দিয়ে নিজের বুদ্ধি খাটিয়ে শেষে সে যখন জিতে যায় এটা আমার খুব ভালো লাগে। ৯ বছরের ছেলের কাজের প্রতি আগ্রহ ও ভালোবাসা আমাকে মুগ্ধ করে। এবং সে বড়দের সাথে তাল দিয়ে যে ভাবে কাজ করে একটা ৯ বছরের ছেলে তা সত্যি অনুপ্রেরণা মুলক। আলমানযোর বাবা ছেলের এই বুদ্ধি দেখে কিন্তু অনেক খুশিই হন।
বসন্তের শেষে আবার অনেক ঠান্ডা পরতে শুরু করলো।এতে করে ফসলের বৃদ্ধি একদম কমে গেল।এর কারনে বাবা ও খুব চিন্তিত হয়ে পড়লো।এর পর হঠাৎ রাতে একদিন বরফ পড়া শুরু করলো।বরফ দিয়ে ভুট্টার গাছ ভরে গেল।এই অবস্থায় যদি ভুট্টার গাছে রোদ পরে তাহলে সব গাছ নষ্ট হয়ে যাবে।এই গাছ গুলোতে ঠান্ডা পানি দেওয়ার মাধ্যমেই শুধু গাছ গুলোকে বাছানো সম্ভব। আর তাই তারা সকলে মিলে সারারাত গাছ গুলোতে পানি দিলো।এবং অল্প কিছু ছাড়া সব গুলো ছাড়া কে বাঁচাতে পারলো।আলমানযোর বাবা খুব খুশি হয় এই ছোট ছেলের কাজের গতি দেখে।
এরই মধ্যে স্বাধীনতা দিবস আসে তখন তারা সকলে মিলে শহরে যায়।আলমানযো কে অন্য সকল কিছুর চেয়ে এই কোল্ট গুলোর সাথেই সময় কাটাতে ভালোবাসে।আর তাই তো সবায় শহরের সৌন্দর্য দেখতে ব্যস্ত।আর আলমানযো বাবার সাথে সবার প্রথম এই কোল্ট গুলোকে খেতে দেয়।এরপর তারা স্বাধীনতা দিবস এর আয়োজন ইনজয় করে।তারপর তার বাবা বিভিন্ন গণ্য মাণ্য ব্যক্তিতের সাথে আলাপ করে।এর মধ্যে আলমানযোর দেখা হয় চাচাতো ভাই ফ্র্যাঙ্কের সাথে। যে কিনা এক নিকেল দিয়ে গোলাপি লেমোনেড কিনে খাচ্ছিলো।
সে আলমানযো কেও খেতে বলিতেছিলো।কিন্তু আলমানযোর কাছে কোন নিকেল ছিল না। এটা নিয়ে ফ্র্যাঙ্ক ও তার বন্ধুরা আলমানযো এর সাথে টিটকারি করতেছিল।তখন আলমানযো সহস করে তার বাবা এর কাছে টাকা চাইতে গেল।তার বাবা কারন জানতে চাইলো। তখন তার বাবা তাকে একটা নিকেল এর পরিবর্তে আধডলার দেয়।এবং তার পূর্বে এই আধডলারের জন্য কতটা পরিশ্রম করতে হয় সেটাও বুঝিয়ে দিলেন।এবং এও বলে দিলেন চাইলে সে এটা দিয়ে লেমোনেড খেতে পারে বা একটা মাদী শুয়োর কিনতে পারে।এবং তার পরবর্তীতে সে কি পরিমাণ লাভ পাবে সেটাও বলে।
তার পর সে টাকা নিয়ে ফ্র্যাঙ্ক ও তার বন্ধুদের কাছে গেল।তার কাছে এত টাকা দেখে ফ্র্যাঙ্ক ও তার বন্ধুরা অবাক হলো।তারা উৎসুক হয়ে থাকলো সে এই টাকা দিয়ে কি করে। আলমানযো এই টাকা দিয়ে শেষে একটা শুকোর কেনে।এরই মধ্যে স্বাধীনতা দিবসের সকল অনুষ্ঠান শেষ হয় এবং তারা বাড়ি ফিরে আসে...
0 Comments