Recents in Beach

দ্য লং উইন্টার লরা ইঙ্গলস্ ওয়াইল্ডার

লরাদের তাদের নিজের স্টেটে এটাই প্রথম গরমকাল।প্রথম ফসল চাষ জন্য উৎপাদন খুব একটা ভালো না হলেও কিছু কিছু ফসল উৎপাদন হলো।এবং এগুলো দিয়ে শীতকাল চলে যাবে তাদের।লরার বাবা ঘাস কেটে রাখছেন উইন্টারের জন্য। কিন্তু একা হাতে খুব একটা করতে পারতেছিলেন না।তারপর লরা তাকে সাহায্য করায় অনেক খড় মজুত করলো তারা। যে গুলো নিজের চাহিদা পূরণ করেও তারা বিক্রি করতে পারবেন।আমিও গল্প পড়তেছিলাম আর খুব খুশি হচ্ছিলাম যে এবার শীতটা গেলেই তাদের সুদিন আসবে।তাই ভাবলাম লরার হয়তো অনিশ্চিত জীবনের শেষ হবে এবার।

কিন্তু অনিশ্চয়তা যেন লরাদের সাথে ওতপ্রোতভাবে জড়িত। আর তাই যেটা কোন দিন হয় নি সেটাই হলো।তারা এক ইন্ডিয়ানের সংকেতে বুঝতে পারলো যে এবার শীত অনেক হবে।আর তাই তারা সাথে সাথে সব কিছু নিয়ে শহরের উদ্দেশ্য রওয়ানা হয়ে গেল।সব কিছুই নিয়ে গেল তারা।সেই দিন থেকেই ঝড় শুরু হলো।টানা দুইদিন থাকলো ঝড় বৃষ্টি।
এরপর উজ্জ্বল আকাশ থকলো।তারপর লরারা আবার স্কুল যেতে শুরু করলো।কিন্তু একদিন স্কুলে গিয়ে ঘটলো অঘটন। হঠাৎ প্রচন্ড ঝড় শুরু হলো।তারা এই ঝড়ে বাড়ি ফিরতে ভুল পথে যাচ্ছিল।কিন্তু সেবার লরার কারনে সকলে বেঁচে গেল।তারপর সকলে যে যার বাড়িতে চলে গেল।
এভাবে ঝড়ের কারনে ট্রেন না আসার কারনে শহরে খাবার দাবার শেষ হতে শুরু করেছি।এর মধ্যে ঝড় থামলে সকলে মিলে রেইল লাইন পরিস্কার করলো।তারপর ট্রেন আসলো।এবং সে যাত্রায় তারা কোন রকম বেঁচে গেল।আমি একটু হাফ ছেড়ে বাঁচলাম। কিন্তু আরও যে কত বিপদ আছে তা তো জানতামই না।
এরপরে টানা ঝড় চললো।একে একে শহরের কোন স্টোরহাউজয়ে আর কোন দানাপানি অবশিষ্ট থাকলো না।এদিকে ট্রেনও আসতে পারতেছিল না।লরার দের খেতে যে আলু ছিল সে গুলো দিয়েই কয়েকদিন তাদের খাওয়া চলছে।এরমধ্যে শহরে ডাক চালু হলো।কিন্তু এতে করে খাবার আনা সম্ভব ছিল না।কিন্তু চিঠি আসতেছিল।সামনে ক্রিসমাস উপলক্ষে রেভারেন্ড অ্যালডেনের পাঠানো ক্রিসমাস ব্যারেলও ট্রেনের সাথেই আটকে আছে।
এর মধ্যে লরাদের খাবার প্রায় শেষ হয়ে গেল। তখন লরার বাবা সারা শহর খুঁজে কোন খাবার পেল না।তখন আলমানযোর ভাই এর দোকান থেকে এক বস্তা গম নিয়ে আসলো।সেটা দিয়ে তাদের বেশ কিছুদিন চলে গেল।এরমধ্যে তাদের কয়লা,কেরোসিম সব কিছু শেষ হয়ে গেল।কিন্তু তাদের মজুত কৃত খড় গুলো তাদের অনেক কাজে দিলো।
এরমধ্যে ঝড় থামার কোন নাম নাই আর তার কারণে ট্রেনও আসতে পারতেছিনো না।পুরো শহরের খাবার শেষ। এর মধ্যে আলমানযো তার বীজের গম ঘরের ভিতর আর একটা দেয়াল করে লুকিয়ে রেখেছে। যাতে কেউ তার গম নিতে না পারে।এরমধ্যে একদিন লরার বাবা আলমানযো দের বাড়িতে আসলেন।এবং গম চাইলেন। কিন্তু রয়াল ও আলমানযো তাকে বললেন যে গম নেই। কিন্তু তিনি বুঝতে পারলেন যে গম কোথায় আছে। তখন তিনি সেখান থেকে গম নিয়ে টাকা দিলেন। তিনি বললেন আমার পরিবার না খেয়ে মরে যাবে এটা না হলে।তখন তিনি গম নিয়ে চলে গেলেন।
এর মধ্যে আলমানযো বুঝতে পারলো যে এভাবে চললে সে তার গম বাঁচাতে পারবে না। শহরে শোনা যাচ্ছিল এক লোক অনেক গম চাষ করেছেন। সেখান থেকে কিছু গম নিয়ে আসতে পারলে শহরের কেউ কে আর না খেয়ে মরতে হবে না।কিন্তু কে যবে এই অনিশ্চিত রাস্তায় তাও আবার এই ঝড়ের দিনে।কিন্তু আলমানযো আর ক্যাপ এই অনিশ্চিত রাস্তায় হাটলো এবং জয়ি হলে।অর্থাৎ তারা শহরবাসীর জন্য গম নিয়ে আসলো।
কিন্তু যে স্টোরহাউসয়ে গম ছিল তখন তিনি গম এর দাম অনেক বাড়ায় দিলো।তখন গোটা শহরের লোক গিয়ে তাকো বোঝালো।সাথে আলমানযোও ছিল।শেষে সে বুঝতে পারলো এবং তার কেনা দামেই গম দিলো।তারপর সকলে তাদের নিজ নিজ প্রয়োজন মত ভাগ করে নিলো।সে যাত্রায় শহর বাসি নির্ঘাত মৃত্যু থেকে বেঁচে গেল।এর মধ্যে এক সকালে আকাশ পরিস্কার হয়ে গেল এবং সূর্য উঠলো।এরই মধ্যে এই বিভীষিকাময় উইন্টার শেষ হলো।এবং লরা দের ক্রিসমাস ব্যারেল পৌঁছে গেল। তাই তারা সে বছর মে মাসেই ক্রিসমাস পালন করলে।এবং মিস্টার বোস্ট দেরও নিমন্ত্রণ করলো।
ভেবেছিলাম এবার বুঝি আর রক্ষা হয় না।যতই পড়তেছিলাম ততই গা কাটা দিয়ে উঠতেছিল।আর ভাবতেছিলাম কখন লরার এই অনিশ্চিত জীবনের যুদ্ধ শেষ হয়ে স্বচ্ছলতা আসবে।এর মধ্যে লরার মনে মেরিকে কলেজে পাঠাতে হবে এই একটা চিন্তা আছেই।আর তাই তো সে সব সময় মেরি কে নিয়েই পড়াশুনা করতো।সে বিশ্বাস করে একদিন ঠিকই মেরির স্কুল যাওয়া হবে।এভাবেই তাদের হাজারো প্রতিন্ধকতার মধ্যে জীবন এগিয়ে যাচ্ছে। ঠিক লরার লক্ষ্যও ততই স্থির হচ্ছে। সে এখন পড়াশুনা করে স্কুলের শিক্ষক হতে চায়।তাই সে সব সময় খুব মন দিয়ে পড়াশুনা করে।এখন দেখি পড়ে লরা শিক্ষক হতে পারে কি না।সেই আগ্রহ নিয়েই পড়ের পার্ট পড়ছি....
ধন্যবাদ



Post a Comment

0 Comments