Recents in Beach

লিটন টাউন অন দ্য প্রেয়ারি লরা ইঙ্গলস্ ওয়াইল্ডার

দীর্ঘ একটা শীতের পর গরম আসলে লরার বাবা আবার জমি চাষ করে বীজ বুনতে শুরু করলো।কিন্তু কোন কোন অনিশ্চয়তা যেন তাদের পিচু ছাড়বে না এমনই শপথ করেছি আর তাই তো ইদুর ভুট্টা দানা খেয়ে ফেলেছিল।ওই এলাকায় তেমন কোন বিড়াল ছিল না তাই ইঁদুরের উপদ্রুপ ছিল একটু বেশি।তারপর একদিন সবাই কে অবাক করে দিয়ে লরার বাবা একদম একটা বিড়াল ছানা নিয়ে আসলো ৫০ সেন্ট এর বিনিময়ে।তারপর তারা তাকে অতি যত্নে বড় করলো।আর সেও খুবই সাহসী আর এক শক্তিশালী বিড়ালে পরিনত হয়েছিল সেটা পরবর্তীতে আমিও বুঝতে পেরেছিলাম।

এর মধ্যে লরার বাবা শহরে ঘর বাঁধার কাজ পেয়েছেন সেখান থেকে ভালোই আয় হয়েছে। এর মধ্যে লরাও মিস্টার ক্ল্যান্সি এর দোকানে তার শাশুড়ী কে সেলাই এর কাজে সাহায্য করলো।এবং বিনিময়ে লরা ৯ ডলার রোজকার করলো।যা সে পুরোটাই তার মা কে দিলো মেরির কলেজ যাওয়ার জন্য। এর মধ্যে লরার বাবাও মেরির কলেজ যাওয়ার জন্য টাকা জমানো শুরু করেছে।লরা খুব খুশি হলো যে এবার লরা কলেজ যেতে পারবে। এবং সে নিজেও এতে সাহায্য করতে পারছে কিছুটা হলেও এটা ভেবেই সে খুশি হলো।
এর মধ্যে লরা একদিন শহরে গেল স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে। শহরে উপসে পড়া লোকজন। লরারা এই জনস্রোত দেখলো তাদের শহরের বাড়ির দোতলা থেকে।এর মধ্যে লরার বাবা ওদেরকে এসে নিয়ে গেল ঘোড়ার দৌড় প্রতিযোগিতা দেখার জন্য।লরা খুব অবাক হলো তার সেই পছন্দের ঘোড়া গুলো সেখানে দেখে।সেই খেলায় সকলে ঘোড়ার পিঠে বগি লাগিয়ে নিয়ে এসেছে।কিন্তু আলমানযো ওয়াগ্যান লাগিয়ে নিয়ে এসেছে।আর তাই সকলে বলাবলি শুরু করলো এত বোঝা নিয়ে আলমানযোর ঘোড়া জিততে পারবে না।লরার যেন মনটাই খারাপ হয়ে গেল।কিন্তু পড়ে আলমানযো ঘোড়া গুলোকে জিততে দেখে লরা খুব খুশি হয়েছিল।লরার বাবা বললো এই ছেলেটা ঘোড়ার জাদুকর।কারণ সে ঘোড়া বস মানাতে খুবই পটু।
এরমধ্যে আরও একটা বিপদ এসে গেল।ফসল অনেক ভালো হওয়া সত্যেও সেই ফসল পুরোপুরি ঘরে তুলতে পারলো না। একঝাঁক পাখি ধীরে ধীরে অনেক শস্য দানা খেয়ে ফেললো।লরা ভাবলো এবারও মেরির কলেজ যাওয়া হবে না হয়তো। কিন্তু মা অবাক করে দিয়ে বললো মেরি কলেজ যাচ্ছে এবার। সবাই অনেক কষ্ট পেলেও মেরি একটা উজ্জ্বল ভবিষ্যত হবে এটা ভেবে সবাই খুশি হলো।এরপর একদিন মেরি চলে গেল কলেজে।সবাই কষ্ট পেলেও মুখে কেউ কিছু বললো না।
এর মধ্যে লরাদের আবার স্কুল শুরু হলো।তারা স্কুল যাওয়া শুরু করলো।এবার তাদের টিচার হলো।মিসেস ওয়াইল্ডার। তিনি আলমানযোর বোন।লরা খুব খুশি হলো যে টিচারকে খুশি করতে পারলে হয়তো সে ওই ওয়াগনে ওঠার সুযোগ পাবে।কিন্তু হলো তার বিপরীত।কারণ এখানে ততদিনে চলে এসে লরার সেই পুরনো শত্রু নেলি।সে লরার নামে বিভিন্ন মিথ্যা বলে মিস্টার ওয়াইল্ডারকে বিষিয়ে দিয়েছে। আর তাই তো লরার আর ক্যারি দন্ড পেতে থাকলো।সেই বার শরৎ গেল স্কুলে তেমন কোন পড়ালেখা হলো না।ছেলেরা টিসারকে অনেক বিরক্তও করলো বটে। এভাবেই বিভিন্ন প্রতিবন্ধকতায় সেবার লরার স্কুল শেষ হলো।অনেক ঝামেলা হলে স্কুলে।কিন্তু লরা না চাইতেও কোন না কোন ভাবে তার দিকেই দোষ আসা শুরু হলো।এভাবেই সেবার শরৎ এর স্কুল পার করলো লরা।টিচারকে আর খুশি করাও হলো না আর সেই পছন্দের ওয়াগনেও উঠা হলো না।
শরৎ শেষে শীত চলে এলো আরব এবার টিচার হলেন মিস্টার ক্লিউয়েট।মিস্টার ক্লিউয়েট অনেক শান্ত ও দৃঢ় স্বভাবের মানুষ এবং পড়ানও অনেক ভালো। সেবার নিজেদের নামে কার্ড তৈরি করে বান্ধবীদের মধ্যে বিলি করার ফ্যাশন চালু হলো।তাই লরারও নিজের নামের কার্ড ডেলিভারি নিয়ে প্রেসের বাইরেই বেরুতে তার পাশে এসে আলমানযোর সেই চমৎকার মরগান গুলো সহ চমৎকার একটা বাগি দাঁড়িয়ে আছে। তাকে স্কুল রেখে আসতে চাইলো। লরা বাগিতে উঠে বসলো।এবং স্কুল অবধি যাওয়া পর্যন্ত খুব একটা কথা হলো না তার আলমানযোর সাথে। তবে দুজনের কার্ড বিনিময় হলো।তাকে আলমানযোর বাগিতে দেখে অনেকে অবাক হলো আর নেলি হিংসায় জ্বলে গেল।
এর পর শীত শেষ বসন্ত চলে এলো আবার ওরা চলে গেল তাদের স্টেটে। এবার ও কিছু ফসল পাখি খেলেও তাদের বিড়ালের জন্য তুলনামূলক ভাবে বেশি ফসল ঘরে তুলতে পারলো তারা।আবার শরৎ কাল চলে এলো। এবং তারা শহরে চলে এলো এবং আবার স্কুল যেতে শুরু করলো।এবং এবার তাদের টিচার হলেন মিস্টার আউয়েন।আল্প দিনেই তিনি লরার পছন্দের শিক্ষকে পরিনত হলেন।এবার স্কুলে অনেক ছাত্র ছাত্রী হলো এবং সেই তুলনায় স্কুল ঘর টা অনেক ছোট। আর তাই তারা শহরের লোকদের মধ্যে একটা এগজিবিশনের কথা ভাবলো।শহরের লোকদের খুশি করতে পারলে তারা এটা করিয়ে নিতে পারবে। সেই অনুযায়ী তারা সকল পরিকল্পনা করলো।
এর মধ্যে লরারা গির্জায় যাওয়া শুরু করলে রিভাইভাল মিটিং এর জন্য। এর মধ্যে আলমানযো এসে তাকে বাড়ি পৌঁছে দেওয়ার প্রস্তাব করলো। লরা তাতে সম্মতি জানালো।এভাবেই আলমানযো পরপর দুদিন তাকে গির্জা থেকে বাড়ি পৌঁছে দিলো।সে সময় এটা একটা চাল ছিল। গির্জার সামনে ছেলেরা দাড়িয়ে থাকতো সেই অনুষ্ঠানের সময় এবং নিজের পছন্দ মত সুন্দরী মহিলাদের বাড়ি পৌঁছে দেওয়ার প্রস্তাব করতো। মেয়েরা রাজি হলে বাড়ি পৌঁছে দিতো।এভাবেই আলমানযোরা সাথে লরার পরিচয় হলো এবং আলাপ শুরু হলো।
এর মধ্যে লরার স্কুলের এগজিবিশন শুরু হলো।এতে ক্যারিও অংশ গ্রহন করেছে।এবং স্কুলের ছাত্র ছাত্রীর পারফরম্যান্সে শহরবাসী খুব খুশি হয়েছেন।এবং লরা যখন আমেরিকার ইতিহাস বলতেছিল তখন সকলে অবাক হলো এবং সে অনেক হাত তালি পেল।লরা আর ক্যারির এমন পারফরম্যান্সে লরার বাবা মা খুব খুশি হলেন এবং দুই মেয়ের অনেক প্রশংসা করলেন।এর মধ্যে আলমানযো কখন তার পাশে এসে দাঁড়িয়ে লরা বুঝতেই পারে নি।লরা কে আবার বাড়ি পৌঁছে দিলো আলমানযো। কিন্তু লরা কিছুতেই বুঝতে পারছে না এই ভদ্রলোক আলমানযো কেন তাকে বার বার বাড়ি পৌঁছে দিচ্ছে। এর মধ্যে স্লেই রাইডিং এর প্রস্তাব করলো এবং দুই সপ্তাহ পরে আসার কথা বললে।লরা তাতে একবাক্যে রাজি হয়ে গেল।
এর মধ্যে মেরিকে ছাড়া আর সময় গুলো যেন কাটতেয় চায় না লরার। খুব মনে পরে মেরির কথা।এর মধ্যেই তাদের বাড়িতে এলো মিস্টার বোস্ট ও মিস্টার ব্রিউস্টার।তাকে মিস্টার ব্রিউস্টার স্কুলের টিচার হওয়ার প্রস্তাব করলো।কিন্তু লরা বললো যে তার তো এখনও বয়স হয় নি। তখন মিস্টার ব্রিউস্টার তার জন্য সার্টিফিকেট এর ব্যবস্থা করে দিতে চাইলেন। এবং লরা শিক্ষকতা করতে রাজি হয়ে গেল।এবং সে দুই মাসে ৪০ টাকা পাবে শিক্ষকতা করলে।এটা মেরিকে বাড়িতে আনতে অনেক সাহায্য করবে ভেবে লরা খুব খুশি হলো।এর মধ্যে মিস্টার উইলিয়াম এসে একটা পরীক্ষা নিলো এবং খুব খুশি হলো।এবং লরাকে সার্টিফিকিট দিয়ে গেল।লরার বাবা বাড়িতে আসলে লরা খুব খুশি হয় তাকে এটা বললো এবং তার সার্টিফিকেট দেখালো।লরার বাবাও অনেক খুশি হলেন কিন্তু মেয়ে তাদের ছেড়ে প্রায় ১২ মাইল দূরে যাবে তা যেন মেনে নিতে পারলেন না।তাই লরাকে আবার জিজ্ঞেস করলেন। কিন্তু লরা তাকে বুঝিয়ে বললেন।এবং লরার বাবা রাজি হলেন এবং মেয়েকে অনেক উৎসাহ দিলেন।
একটা এগজিবিশন লরার জীবনটা অনেক সহজ করলো।আমিও খুব খুশি হলাম।আর ভাবলাম এবার লরার জীবনটা থেকে সকল অনিশ্চয়তা দূর হয়ে যাবে। এবং ভালো দিন আসবে। লরার সকল পরিশ্রম সফল হয়েছে এটা ভেবে আমিই অনেক খুশি হলাম।এখন ভাবছি এটা তার জীবনে সব সময় থাকবে তো।কারণ বার বার মনে হয় যে লরার তো ভালো দিন আসতে আসতেও তো আসে না।কারন বারবার সুদিন আসতে ধরেও শেষ অবধি অনিশ্চয়তাই এসেছে।এখন দেখা যাক নেক্সট পার্টে কি হয়।সে কতটা সফলতা সাথে তার টিচার এর দায়িত্ব পালন করতে পারে...
ধন্যবাদ


Post a Comment

0 Comments