Recents in Beach

বাই দ্য শোরস্ অভ সিলভার লেক লরা ইঙ্গলস্ ওয়াইল্ডার


লরা দের দুংসময় যেন পিছুই ছাড়ছে না।আর তাই পর পর দুই বার গীষ্মেও তেমন কোন ফলন ভালো হলো না।এর মধ্যে হাম জ্বলে মেরি,ক্যারি,ছোট্ট গ্রেস আর লরার মার কাহিল অবস্থা। লরা আর তার বাবা পুরো পরিবারকে সামলাচ্ছে।লরা যেন টম মুহুর্তে আর সেই ছোট্ট মেয়েটি নেই। কয়েক গুণ বড় হয়ে পরিবারের দায়িত্ব নিয়ে নিয়েছে। এই হাম জ্বলে সব চেয়ে খারাপ যেটা হয়েছে তা হলো মেরি তার চোখের দৃষ্টি হারিয়েছে।মেরি এ নিয়ে কোন অভিযোগ নেই। চুপচাপ সে মেনে নিয়েছে।
এর মধ্যে খাবারও প্রায় শেষ। কি করে সংসার চলবে সে নিয়ে চিন্তায় আছে। তার উপর সকালে চিকিৎসায় অনেক টাকা ধারদেনা হয়ে গেছে।এর মধ্যে তাদের বাড়ির দিকে একটা বাগিতে করে এক মহিলা কে আসতে দেখে চিন্তায় পড়লো তারা।কারন তাদেরই তো অনেক সমস্যা। কি দিয়ে আপ্যায়ন করবেন অথীতিকে।পড়ে সেই মহিলাকে লরার মা এবং বাকি সবাই চিন্তে পেল।সেই উইসকনসিনে দাদুর বাড়িতে তাকে দেখেছিল লরা তাকে।এই মহিলার নাম হলো ডোসিয়া।
এর মধ্যে ডোসিয়া হাইয়েন নামের এক বিপত্নীক ব্যক্তিকে বিয়ে করেন।তিনি একজন ঠিকাদার। তিনি রেললাইনের কাজ করছেন এখন।তিনি লরার বাবা কে ৫০ ডলার টাকার বেতনের একটা চাকুরির কথা বললেন সেই পশ্চিমে।লরার বাবা অনেক ভেবে রাজি হলো বর্তমান পরিস্থিতির কথা ভেবে।আবার তাদের স্থায়ী বসতি থেকে অনিশ্চিত জীবনের শুরু হলো।
লরার বাবা জিনিসপত্র সহ আন্টি ডোসিয়ার সাথে চলে গেল। এর মধ্যে লরাদের কুকুর জ্যাকও মারা গেল।লরা খুব কষ্ট পেয়েছিল।এবং লরাদের এই ক্রিক প্লামের স্থায়ী বাড়িটা মিস্টার নেলসন এর কাছে বিক্রি করে লরার বাবা ২০০ ডলার পেল। তা দিয়ে মানুষের পাওয়া শোধ করেও কিছু টাকা থাকলো।মেরির অসুস্থতার কারণে লরারা তার বাবার সাথ যেতে পারে নি।মেরি একটু সুস্থ হলে লরারা ট্রেনে করে বাবার উদ্দেশ্য পশ্চিমে গেল।এবং লরার বাবা এসে তাদের কে নিয়ে গেলো।
তারপর তারা আন্টি ডোসিয়ার ওখানে গিয়ে উঠলো।সেখানে লরার ভাব হলো লেনা নামে একজনের সাথে।লেনা আন্টি ডোসিয়ার মেয়ে। লরা লেনা কে খুব পছন্দ করলো।এবং তার কাছে ঘোরায় উঠা তারপর লরা কে লেনি বাগি চালানোও শেখালো।লরা সাথে যে কয়দিন ছিল দিন কয়টা খুব ভালো কাটলো লরার।
এরপর তারা আবার যাত্রা শুরু করলো মূল গন্তব্যে। এর মধ্যে পথিমধ্যে বেশ কিছু ডাকাতের খপ্পরে পড়তে ধরেছিল তারা কিন্তু লরার বাবার পরিচিত একজন তাদের সেখান থেকে বাঁচায়।তারপর তারা তাদের গন্তব্যে পৌঁছল। সেখানে গিয়ে সবাই অবাক। তাদের সাথে দেখা হয়ে গেল আঙ্কেল হ্যানরির।খুব খুশি হলো তারা।এরপর দিন তারা তাদের নিজের কুটিরে চলে গেল।এবং সেখানে তাদের নতুন জীবন শুরু হলো আবার।সব মিলিয়ে লরা এখন ঘরের অনেক কাজ করে।
লরার বাবা এখানে স্টোরকিপার ও হিসাবের কাজ করতো।সব সময় অনেক ব্যস্ততার মধ্যে থাকতে হতো।লরার মা এই জীবনটা একদম পছন্দ করতো না।এভাবেই তাদের অনেক টা সময় ভালো মন্দ মিলে কাটলো।এখানে তখন লেনা রাও থাকতো।তাই লরার সময় কাজের মধ্যেও যখন করে লেনা এর সাথে দেখা হতো তখন ভালোই কাটতো সময় গুলো।
এরই মধ্যে শীত চলে এলো আবার।শীতে পশ্চিমে অনেক শীত পড়ে তাই এখানে থাকা প্রায় অসম্ভব। তাই সকলে বেতন নিয়ে পুবে যেতে শুরু করলো।কারন এসময় রেল লাইনের কাজ বন্ধ থাকে।লরার বাবা এই সময় কাজ করে শুধু ৩০০ ডলার জমাতে পেরেছে। যা অন্য কোথাও গিয়ে থাকার মতো যথেষ্ট নেই।এর মধ্যে সার্ভেয়ার লোকজন লরার বাবা কে সার্ভেয়ার কোয়ার্টারে থাকার প্রস্তাব দিলো এই শীতে।যদি লরার বাবা এখানে থাকেন তাহলে তারা দেশে যাবে তাদের পরিবারের কাছে।তারা সার্ভেয়ার দের রাখা শীতের জন্য রাখা খাদ্য ও সব কিছু ব্যবহার করতে পারবে। এতে করে লরার বাবা ও সকলে খুব খুশি হলো।লরার দের সেই শীতটা ভালোই কাটলো।
এবং এর মধ্যে শীত প্রায় শেষ হয়ে এলো।এবং পশ্চিমে অনেক লোক আসতে শুরু করলো।এর মধ্যে লরার বাবাও অনেক ভোগান্তির পর স্থানী ভাবে বসবাস করার জন্য হোম স্টেট পেয়ে গেলেন।এবং এর মধ্যে এই পশ্চিমে শহর গড়ে উঠলো।সেখানে লরার বাবাও একটা বাড়ি বানিয়ে ফেললো।কিন্তু তারা যখন সেখানে এসে বসবাস শুরু করলো তার কয়েকদিন এর মাথায় একজন কে ডাকাত মেরে ফেললো।তখন তারা শহরে না থেকে খামার বাড়িতে থকার জন্য রওয়ানা হলো।তখন পথি মধ্যে লরার আলমানযোর ঘোড়া গুলোর দিকে চোখ আটকে গেল।তখন লরার মনে মনে ভাবলো কখনও তার এমন টাকা হলে এমন একটা ঘোড়া কিনবে।লরা তার বাবা কে জিজ্ঞেস করলো তখন লরার বাবা আলমানযোর কথা বললো এবং তারা যে শহরের উত্তর দিকে স্টেট এর জন্য কেলেই করেছে তাও বললো।
সিরিজ টা পড়তে ছিলাম আর ভাবতেছিলাম কখন কিভাবে লরার সাথে আলমানযোর দেখা হবে। এভাবে গল্পের মোর এক হয়ে যাবে তা বুঝতে পারি নাই। খুব ভালো লাগছে পড়তে। এখন অপেক্ষা করছি নেক্সট গল্পে কি হবে। গল্প টা যত পড়ছি ততই ভালো লাগছে।আসলে মানুষের সাথে ভালো ব্যবহার করলে তা কোন না কোন ভাবে ঠিকই কাজে লাগে।যেমন লরার বাবা স্টেট পাওয়ার সময় মিস্টার এডওয়ার্ড এর হেল্প পেয়েছিলেন।যারা এই সিরিজ পড়েছেন তাদের তো মিস্টার এডওয়ার্ড এর কথা মনে আছেই। এর মধ্যে তাদের গির্জার রেভারেন্ড অ্যালডেন এর সাথেও দেখা হয়েছিল।আমাদের যে কোন কাছের মানুষের সাথে দেখা হলে তা আমাদের কে সব সময় আনন্দ দেয় এটা এই অংশ পড়ে বারবার মনে হয়েছে।
এই সিরিজটা অসাধারণ। প্রত্যকটা গল্পই ভালো লাগছে। লরার সাথে সাথে ঘুড়তে যেমন আমার ভালো লাগছে। ঠিক লরার অনিশ্চিত জীবনটার জন্য মনটা হু হু করছিল। বারা বার মনে হচ্ছিল যে তাদের একটা স্থায়ী ঠিকানা হউক।আর তাদের এই টানা পোড়া শেষ হউক।কিন্তু তা যেন শেষই হতে চাচ্ছে না।এখন দেখা যাক নেক্সট পার্টে তাদের স্থায়ী বসতি কেমন হয়।আমি সেই আগ্রহ নিয়ে এখব নেক্সট পার্ট পরা শুরু করবো....
ধন্যবাদ



Post a Comment

0 Comments